আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে চায় জাপা

মোরশেদ মুকুল: জাতীয় পার্টি মহাজোটের কাছে প্রথমে শতাধিক আসন দাবি করে আসলে এখন সেই সংখ্যা ৪০টিতে এসে ঠেকেছে। সবদিক ছাড় দিয়ে এই ৪০টি আসনেই তাদের প্রার্থীতা চূড়ান্ত করতে চায় দলটি।
গতকাল শনিবার জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শরিকদের ৭০টির বেশি আসন দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে জোটটির বড় শরিক দল জাতীয় পার্টিকে কতো আসন দেয়া হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলেননি তিনি।
বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিত রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, আসন নিয়ে দর না করে তারা ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে থেকেই পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে চান। তবে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৪০টি আসনে জোটের হয়ে একক প্রার্থীতা নিশ্চিত করতে চান। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে কয়টি আসন দেয়া হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনটি তারা।
এদিকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। এর আগেই আসন ভাগাভাগি নিশ্চিত করতে চায় মহাজোট। এ নিয়ে চূড়ান্ত একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার দুই দলের নেতৃত্ব দিবেন।
জাতীয় পার্টির প্রস্তাবিত আসন তালিকার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-১ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ মীর আবদুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-১৩ সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ঢাকা-১৭ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
ঢাকার বাইরে নরসিংদী-৪ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-১ এইচ এম এরশাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-২ মো. নোমান মিয়া, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ এম এ সাত্তারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ ছওম আবদুস সামাদ (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-৯ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১২ এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), কক্সবাজার-৩ সন্তোষ শর্মা, নোয়াখালী-১ আলহাজ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক (ইসলামী মহাজোট), ফেনী-৩ লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লাহ-২ আমির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৪ অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন, চাঁদপুর-৫ মাওলানা মো. আবু সুফিয়ান আল কাদেরী (ইসলামী মহাজোট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল (ইসলামী ফ্রন্ট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ কাজী মামুনুর রশিদের নাম রয়েছে।
নিজ এলাকা রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-২ অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কুড়িগ্রাম-১ মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ ডা. আক্কাস আলী, লালমনিরহাট-১ মেজর (অব.) খালেদ আখতার, লালমনিরহাট-২ রোকন উদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-৪ মো. শওকত চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার। রাজশাহী-৩ শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, জয়পুরহাট-২ কাজী আবুল কাশেম রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. হাফিজ উদ্দিন, দিনাজপুর-৬ মো. দেলোয়ার হোসেন। সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সিলেট-৪ এ টি ইউ তাজ রহমান, সিলেট-৫ মো. সেলিম উদ্দিন। সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, হবিগঞ্জ-১ আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান আতিক।
আর বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতœা, পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুর-৩ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী। বরগুনা-২ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ মিজানুর রহমান, খুলনা-১ সুনীল শুভ রায়, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে সম্মানজনক আসন পাওয়ার আশা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেনন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যেই মহাজোটগত প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করতে পারব।